Linguistic Terrorism in India

ভারতে নয়া সন্ত্রাস 'ভাষা সন্ত্রাস': সৌজন্যে ভারতীয় জনতা পার্টি ও আর. এস. এস 


বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড়ো উৎসব শারদ উৎসবকে কেন্দ্র করে যখন এই বাংলায় একটা আনন্দময় পরিবেশ ফুটে উঠছে, হিন্দু - মুসলিম সকলে মিলে যখন একটা সম্প্রীতির বাতাবরনে সেই আনন্দ উপভোগ করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ঠিক এমন একটা সময়ে গত 1 অক্টোবর মঙ্গলবার কলকাতায় এসে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ হুংকার ছাড়লেন, এন আর সি ইস্যুতে মুসলিম ছাড়া অন্যদের দেশ ছাড়তে হবে না। অর্থাৎ জাতীয় নাগরিক পনজীর,Nation Register of Citizens - এর বিষয় নিয়ে তিনি মুসলিমদের আতংকগ্রস্ত করে হিন্দুদের সাথে অবশিষ্ট অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায় যথা বৌদ্ধ, জৈন ও খ্রিস্টানদের আশ্বস্ত করে গেলেন। প্রকাশ্যে তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে এমন কুরুচিপূরন কুবাক্য বলে বাংলায় এসে পন্ডিত ঈশ্বরচনদরো বিদ্যাসাগরের দ্বিশতবরষে তার আপ্তবাক্য, 'কখনো কুবাক্য বলিও না' অমান্য করে তিনি শুধু পন্ডিত মশাইকে অপমান করলেন না,সেইসঙ্গে ভারতীয় সংবিধান, সংস্কৃতি ও গনতন্ত্রকে অপমান করে নিজ পদের অমর্যাদা করলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীমশাই অমুসলিমদের যে অভয় বার্তা দিলেন তার সারকথা হল, রাজ্য বা দেশ ছেড়ে একজনও হিন্দু শরণার্থীকে চলে যেতে হবে না। আর যাতে কোনও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও জৈন শরণার্থীকে দেশ ছাড়তে না হয়, তার জন্য প্রথমেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(Citizens Amendment Bill) এনে সংসদের উভয় কক্ষে তা পাশ করিয়ে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলায় অবশ্যই NRC হবে। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খিস্টান শরণার্থী থাকবেন। কিন্তু একজন অনুপ্রবেশকারীকেও(মুসলিম) দেশে থাকতে দেব না। দেশের প্রতিটি জায়গা থেকে খুঁজে তাদের দেশ থেকে তাড়ানো হবে। তবে সম্প্রতি এই বক্তব্যের আবার সংশোধনী বেরিয়ে গেছে। আতংকের পরিবেশ আরও বহুগুন বাড়িয়ে দিয়ে আর এস এস তথা উত্তরপ্রদেশ ধর্ম জাগরণ সমিতির প্রধান রাজেশ্বর সিং দাবি করেছেন ', 2021 সালের 31 ডিসেম্বরের মধ্যে ভারত থেকে মুসলিম ও খ্রিস্টানরা সম্পূর্ণ মুছে যাবে। ওই তারিখটা ভারতে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের শেষ দিন। ওদের কারও এদেশে থাকার অধিকার নেই,হয় তাদের ধর্মান্তরিত হতে হবে, নয়তো দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা। ' যাইহোক, যারা একটু বিশেষভাবে পড়াশোনা করেন, গভীর চিন্তা ভাবনা করেন তারা একথা অস্বীকার করবেন না যে, অধিকাংশ হিন্দুর আইকন বা আদর্শ (Ideal) আধুনিক ভারতের জাতীয় চেতনার রূপকার স্বামী বিবেকানন্দ বৃহত্তর হিন্দু সমাজের স্বপ্ন দেখতেন। যেখানে মহারাষ্ট্রে গনপতি উৎসবের প্রবর্তক বালগংগাধর তিলক,'1900 খ্রিস্টাব্দে গনপতি উৎসবে হিন্দুধর্ম -বিষয়ক বক্তৃতায় বলেন :সর্ব মত-পথ, জাতি ও বর্ণের হিন্দুদের এক ছাতার তলায় আনতে হবে, কিন্তু বাদ দিতে হবে বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান ও মুসলমানদের। খ্রিস্টান ধর্ম ও মুসলমান ধর্মের বিপরীত বিশ্বাস হিন্দু ধর্মের, হিন্দু ধর্মে ঈশ্বরের অবতার এক নন বহু, যদিও হিন্দু ধর্ম শেষ পর্যন্ত এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী। 'তবে তিলক বৌদ্ধ ও জৈনদের হিন্দু-পরিধির বাইরে রাখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু স্বামীজী ঐ দুটি সম্প্রদায়কে হিন্দু পরধির বহির্ভূত ভাবেন নি।। বরং স্বামীজী শিখ ধর্মকেও হিন্দু ধর্মের অন্তর্ভুক্ত ভেবেছিলেন। শিখ গুরু গুরুগোবিন্দ স্বামীজীর কাছে হিন্দুবীর ছিলেন, স্বামীজী তার লাহোর বক্তৃতায় গুরুগোবিন্দকে হিন্দু আদর্শের এক শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধিরূপে চিহ্নিত করেছিলেন। আসলে RSS - এর হিন্দু - হিন্দুত্ব ভাবধারা একটা গভীর সংকীর্ণ আত্মকেন্দিক অনুশীলনের ফল। আর এই সংকীর্ণ মন-মানসিকতার জন্য আজও এরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ কলুষিত করছে। এরা ভুলে গেলেও ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এদের কাছে অপ্রিয় মুঘল সম্রাট আওরংগজেব সর্বপ্রথম ভারতে নিষ্ঠুর সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে তা পুনরায় চালু হলে ভারতের নবজাগরনের অগ্রদূত রাজা রামমোহন রায়ের প্রচেষ্টায় লর্ড উইলিয়াম বেন্টিং-এর দ্বারা পুনরায় সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। অপরদিকে ঈশ্বরচন্দর বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায় ইংরেজ সরকারের সহায়তায় হিন্দু সমাজে' বিধবা বিবাহ' চালু হয় এবং আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন হয়। এদের সম্বন্ধে বলা যায় সংকীর্ণ ও নীচ মানসিকতার জন্য এরা স্বামী বিবেকানন্দের, 'ইসলামীয দেহ ও বৈদান্তিক হৃদয়' অর্থাৎ', মুসলিম দেহ ও হিন্দু আত্মার ' মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পারে নি। যদিও এটাকে সমালোচকদের কেহ কেহ ইসলামের উপর হিন্দুত্বের প্রাধান্য হিসেবে দেখে থাকেন। এদেরকাছে শ্রীরামকৃষ্ণের, 'যত মত তত পথ' কথাটি অর্থহীন। এরা হিন্দুত্বের চশমা পরে সবকিছুর মধ্যে হিন্দুত্বের গন্ধ খুঁজছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের, 'ভারত তীর্থ' কবিতার এই লাইনগুলো, 'হেথায আর্য, হেথা অনার্য, হেথায দ্রাবিড়, চিন /শক-হূন-দল পাঠান মোগল এক দেহে হলো লীন/পশ্চিমে আজি খুলিয়াছে দ্বার, সেথা হতে সবে আনে উপহার /দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে /এই ভারতের মহামানবের সাগর তীরে।' এই ধর্মোম্মাদদের কাছে বিদ্রোহী কবি নজরুলের 'বিদ্রোহী' কবিতার এই লাইনগুলো,' মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু - মুসলমান /মুসলিম তার নয়নমনি, হিন্দু তার প্রাণ। 'একেবারে অর্থহীন। তবে ভারতে সভ্যতার যে সংকট দেখা দিয়েছে তাতে বলা যায় যে, মুসলিমদের সামনে বহু বিপদ অপেক্ষা করছে। কিন্তু ভয় করলে চলবে না, মরার আগে ভুত হয়ে লাভ নেই, শক্ত হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে কারণ দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, পিছবার কোনো পথ নেই। জমির পূরানো দলিল, পড়চা, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, জন্ম সার্টিফিকেট, ব্যাংকের পাশ বই, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট ইত্যাদি নথিগুলো প্রয়োজন মতো করে নিন আর ভুল থাকলে তা অবশ্যই গাফিলতি না করে সংশোধন করে নিন। মনে রাখবেন যারা ভারতের সম্মানীয নাগরিক তাদের কোনো ভয় নেই। আগামী দিনে হয়তো তাদের নাম National Register of Citizens - এর তালিকাভুক্ত হবে, যেটা আগে ছিল না। এতে ভয়ের কোনো কারণ নেই। বিষয়টি অনেকটা বাচ্চাদের ইনজেকশন নেওয়ার মতো, প্রথমে কষ্ট হলেও কিম্বা লাগলেও পরে এর উপকার আছে। তবে আগামী দিনে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হল 2011 সালের পর আবার 2021 সালে অর্থাৎ, 10 বছর বাদে আবার সেনসাস বা লোকগননা হবে, সরকারি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাবে National Populations Register আপনাদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য, ওই সময়ে বাড়িতে থাকবেন Census কর্মীদের সঠিক তথ্য জানিয়ে সহযোগীতা করবেন। গননা কর্মীরা নির্দিষ্ট ফরমাট পূরণ করবেন আর আপনারা অবশ্যই সেগুলো নিজ চোখে ভালভাবে দেখে নিয়ে তারপর সহি সাবুদ করবেন। মুসলিমদের বলব, RELIGION অর্থাৎ, ধর্মের জায়গায় ISLAM বা 'ইসলাম' লেখাবেন 'মুসলিম' নয়। এটি ধর্ম নয়, ধর্ম হল 'ইসলাম'। এখানে একটা কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন অনুপ্রবেশকারী কিম্বা শরণার্থী কারা? মোটামুটিভাবে বলা যায় যারা অবৈধভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যায় তারা হল অনুপ্রবেশকারী বা INFILTRATOR আর যারা যুদ্ধ, ভূমিকম্প, বন্যা কিম্বা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ব্যাপক হারে এক দেশ থে কে অন্য দেশে বাচার জন্য আশ্রয় নেয়,এরা হল শরণার্থী বা REFUGEE, আর অনেক সময় সমস্যা মিটে গেলে তারা আবার নিজ দেশে ফিরে আসে। যেমন 1947 সালে দেশ ভাগের সময় ভারত ও পাকিস্তানে লক্ষ লক্ষ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিল। বর্তমান বিশ্বে তুরস্ক, কানাডা, বাংলাদেশ এবং অন্যান্য কয়েকটি দেশ মানবিক কারণে শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে আর পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ শক্তি আমেরিকার রাষ্ট্রপতি TRAMP বলছেন অনুপ্রবেশ আটকাতে সীমান্তে সাপ, কুমির ছেড়ে দেওয়া হবে, হায় বিপন্ন মানবতা! তবে সত্যিই যদি এখানে এন আর সি হয়্ তখন অনুপ্রবেশকারী ( INFILTRATOR) বলা হচ্ছে যাদের তাদের বারকরে দেওয়া হবে, কিন্তু যেসব মুসলিম ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন তাদের অবস্থা কেমন হবে তা সহজেই অনুমানযোগ্য। তাদের জন্য হয়তো থাকবে সীমাহীন বন্চনা,চাকরি বাকরি, ব্যবসা বাণিজ্যসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত একটা জাতি হিসেবে মুসলিমদের থাকতে হবে। আগে যারা মনে মনে মুসলিম বিদ্বেষ ভাব পোষন করত, এখন তারা ওপেন প্লাটফর্ম পেয়ে গলার শিরা ফুলিয়ে, ঊর্ধ্ববাহু করে কুকথায পন্চমুখ হয়ে, 'ভাষা সন্ত্রাস সৃষ্টি করে চলেছেন। ভবিষ্যতে মুসলিমদের উন্নয়নের জন্য আর হয়তো বিচারক রাজেন্দ্র কুমার সাচারের মতো ব্যক্তিকে দিয়ে কমিশন গঠনের প্রয়োজন হবে না। তবে মুসলিম দের অবশ্যই ভাবতে হবে, তারা কারও দয়ায ভারতে বাস করে না। তারা বাস করে সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা পরম করুনাময মহান বিচারক আল্লাহ রাজত্বে এই দুনিয়াতেই। মুসলিমদের মতো একটা সমুন্নত অতি উচ্চ আদর্শ বিশিষ্ট জাতি যারা একদা এই বিশ্বের এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপে এক বিশাল সাম্রাজ্য স্থাপন করেছিল , তাদেরকে অত সহজে ফুতকারে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র ভারত কেন, পৃথিবীতে এমন কোন দেশ নেই,,যেখানে মুসলমান নেই। এমনিতেই এই বিশ্বে 57 টা স্বাধীন মুসলিম দেশ আছে, তা অনেকেই জানেন। মুসলিমরা বিশ্বের সর্বত্র সব পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন বলেই তো ইসলাম ধর্ম পৃথিবীতে এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এবং এটা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত প্রচারশীল ধর্ম। সুতরাং ইসলাম ফোবিযায ভুগে লাভ নেই, 'জয় শ্রীরাম', 'জয় হনুমান' ইত্যাদি ধ্বনি দিয়ে ভাষা সন্ত্রাস সৃষ্টি করে আখেরে কোনো লাভ হবে না।

সম্প্রতি বনগাঁর ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাডি এলাকায় নাগরিকত্বের দাবি ও এন আর সি-এর বিরুদ্ধে এক বৈঠক সভায় হামলা চালানো হয়। অভিযোগ উঠেছে বিজেপি ও আর এস এস সংগে যুক্ত ব্যক্তিরা হিন্দিভাষী বহিরাগতদের দ্বারা এই কান্ড ঘটিয়েছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন মতুযা মহাসংঘের সংঘাধিপতি ও প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর ও অল ইন্ডিয়া মতুযা মহাসংঘ নাগরিকত্ব সংগ্রাম কমিটির সভাপতি Sukriti Ranjan Biswas. তাদের মারধর ও হেনস্থা করা হয়। আক্রমণকারীদের কাছে লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি ছিল। ওই বৈঠক সভায় বেশকিছু সংখ্যালঘু মুসলিম নেতাদের যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে তারা পৌঁছুতে দেরি করায় এ যাত্রায় বেচে যান। তবে এই ঘটনায় জমিযতে উলেমাযে হিন্দের উত্তর 24 পরগনার জেলা সম্পাদক কাজী আরিফরেজা (শিক্ষক) ও তার গাড়ির চালক আহত হন। একদল উম্মত্ত জনতা আরিফ রেজার গাড়ি ঘিরে ধরে ইট, লাঠি নিয়ে হামলা চালালে, তার গাড়ির চালক আহত অবস্থায় কোনও রকমে বেরিয়ে আসতে পারায় এ যাত্রায় তারা প্রাণে বেঁচে যান। আসলে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে প্রতিবাদের কন্ঠ রোধ করতে এবং দেশের বেহাল অবস্থা থেকে মানুষের নজর অন্যদিকে ঘোরাতে পরিকল্পনা মাফিক এই সব করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে যাতে বিরোধী আন্দোলন দানা বাঁধতে না পারে। তবে ভয় করলে চলবে না, তীব্র গন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ছিন্নমূল মানুষেরা একবার দেশান্তরিত হয়েছেন, তাই তারা থিতু হবার পর পুনরায় তাদের উচ্ছেদ করা মানে, একটা গাছকে একবার তুলে বসানোর পর সেটি নুতন জায়গায় অভিযোজিত হলে সেই পূর্ণ বয়স্ক গাছকে পুনরায় মূলোতপাটন করে গাছটির মৃত্যু ঘটানোর মত বিষয়। সুতরাং ভুক্তভোগীরা নাগরিকত্বের দাবি নিয়ে আন্দোলন করতেই পারেন, এটা তাদের মরন-বাচন লড়াই। তাছাড়া NRC - এর বিরুদ্ধে মানুষ ক্ষোভ দেখাতেই পারে আর তাই মানবিক কারণে তাতে বাধা দেওয়া যায় না।

(সংশোধন বাঁকি রইল)

Comments

Popular posts from this blog

Solution To Rohingya Crisis

ANTI-MUSLIM RIOTS, AN ON GOING PROCESS OF COMMUNAL INDIA TO FACE

What's Modi's Thinking and Reality ?